গরু পাচারে জড়িত বিএসএফ : সিবিআই
গরু পাচারসহ নানা অভিযোগে বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। তবে এই গরু পাচারের সঙ্গে সেই বিএসএফ জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিএসএফ এবং শুল্ক বিভাগ গরু পাচারে সাহায্য করে।
কিছুদিন আগে বিএসএফ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি। তবে সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ, এর জন্য বিএসএফ’কে পাল্টা দায়ী করে। সম্প্রতি সিবিআই’র তদন্তে প্রতিবেদনেও একই তথ্য উঠে এসেছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তে বিএসএফ এবং শুল্ক বিভাগের অনেক কর্মকর্তা সরাসরি গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। এ কারণে ২৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার বিএসএফ’র এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
সিবিআই জানায়, অভিনব কায়দায় এই গরু পাচার করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিএসএফ’ই সীমান্তে গরু ধরে। মাসে কতজন পাচারকারীকে তারা গ্রেপ্তার করেছে এবং কতগুলো গরু উদ্ধার করা হয়েছে তারও হিসাব রাখতে হয়। প্রথম দিকে ঠিকভাবে করলেও পরে সমস্যা করে বিএসএফ। মালদা ও মুর্শিদাবাদসহ রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে বাজেয়াপ্ত গরুকে খাতায় কলমে বাছুর বানায় বিএসএফ।
তারা আরো জানান, এরপর পূর্ণ বয়স্ক গরুকে নিয়ে বাজারে যাওয়া হয়। সেখানেই ওই গরুকে বাছুর হিসেবে নিলাম করা হয়। খুব কম টাকায় তা বিক্রি করা হয়। আর পাচারকারীরা সেই গরু কিনে নেন। নিলামও এমন ভাবে করা হয়, যাতে পাচারে বাজেয়াপ্ত গরু আবারো পাচারকারীরই পায়। এই কাজের জন্য গরু প্রতি বিএসএফ’র অভিযুক্ত অফিসারা পায় দুই হাজার টাকা। আর শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তাদের দেয়া হয় ৫০০ টাকা। এরপর পাচারকারীরা সেই গরুকে সীমান্তের অন্য পারে পৌঁছে দেয়। দ্বিতীয়বার তাদের গরু আর ধরা হয় না।
এনআইএ এবং সিবিআইয়ের সূত্রে আরো জানা গেছে, গরু পাচারের সঙ্গে আরো ভয়াবহ লেনদেনের ঘটনাও ঘটে। গরুপাচারকারীরা অস্ত্রের পাচারের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। পাচারের বিভিন্ন পদ্ধতির বিষয়ে জানতে পেরেছে এনআইএ। পাচারকারীরা জেএমবি’র সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি সিবিআই।
কিছুদিন আগে বিএসএফ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি। তবে সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ, এর জন্য বিএসএফ’কে পাল্টা দায়ী করে। সম্প্রতি সিবিআই’র তদন্তে প্রতিবেদনেও একই তথ্য উঠে এসেছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তে বিএসএফ এবং শুল্ক বিভাগের অনেক কর্মকর্তা সরাসরি গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। এ কারণে ২৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার বিএসএফ’র এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
সিবিআই জানায়, অভিনব কায়দায় এই গরু পাচার করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিএসএফ’ই সীমান্তে গরু ধরে। মাসে কতজন পাচারকারীকে তারা গ্রেপ্তার করেছে এবং কতগুলো গরু উদ্ধার করা হয়েছে তারও হিসাব রাখতে হয়। প্রথম দিকে ঠিকভাবে করলেও পরে সমস্যা করে বিএসএফ। মালদা ও মুর্শিদাবাদসহ রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে বাজেয়াপ্ত গরুকে খাতায় কলমে বাছুর বানায় বিএসএফ।
তারা আরো জানান, এরপর পূর্ণ বয়স্ক গরুকে নিয়ে বাজারে যাওয়া হয়। সেখানেই ওই গরুকে বাছুর হিসেবে নিলাম করা হয়। খুব কম টাকায় তা বিক্রি করা হয়। আর পাচারকারীরা সেই গরু কিনে নেন। নিলামও এমন ভাবে করা হয়, যাতে পাচারে বাজেয়াপ্ত গরু আবারো পাচারকারীরই পায়। এই কাজের জন্য গরু প্রতি বিএসএফ’র অভিযুক্ত অফিসারা পায় দুই হাজার টাকা। আর শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তাদের দেয়া হয় ৫০০ টাকা। এরপর পাচারকারীরা সেই গরুকে সীমান্তের অন্য পারে পৌঁছে দেয়। দ্বিতীয়বার তাদের গরু আর ধরা হয় না।
এনআইএ এবং সিবিআইয়ের সূত্রে আরো জানা গেছে, গরু পাচারের সঙ্গে আরো ভয়াবহ লেনদেনের ঘটনাও ঘটে। গরুপাচারকারীরা অস্ত্রের পাচারের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। পাচারের বিভিন্ন পদ্ধতির বিষয়ে জানতে পেরেছে এনআইএ। পাচারকারীরা জেএমবি’র সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি সিবিআই।
কোন মন্তব্য নেই