পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চায় সরকার
পেঁয়াজের জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেরা পেঁয়াজ চাষ করে স্বর্নিভরতা বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে চায় সরকার।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, সরকার পেঁয়াজ নিয়ে আমদানি নির্ভরতা কমাতে চায়। ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকলে পেঁয়াজ নিয়ে বিব্রত হতেই হবে। তাই আমরা পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোরও উদ্যোগ নিচ্ছি। এ বিষয়ে সরকার খুবই সিরিয়াস বলে জানিয়েছেন তিনি।
টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দেশের এই সময়ে জনগণের কথা বিবেচনা করে সরকারের অনুরোধে বিনা মুনাফায় দেশের শীর্ষ ৫টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রতিমাসে ৩২ হাজার টন হিসেবে আগামী পাঁচ (৩১ মার্চ পর্যন্ত) মাসে ১ লাখ ৬০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করে বাজারে ছাড়বে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো গতবছরও সরকারকে এ ধরনের সহযোগিতা করেছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, টিকে গ্রুপ এবং বিএসআরএম গ্রুপ। এর বাইরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের ছোট ছোট ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ ব্যবসায়ীকে ছোট ছোট লটে মোট চার লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেসব পেঁয়াজও পর্যায়ক্রমে মার্চের মধ্যে আসবে। এতো পরিমাণ পেঁয়াজ একসঙ্গে আমদানি করা হলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলেই পর্যায়ক্রমে ছোট ছোট লটে আমদানি করা হবে।
এদিকে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে সরাসরি মাঠ পর্যায়ের কৃষকের সঙ্গে কথা বলতে ফরিদপুর, পাবনা ও রাজবাড়ী সফর করে ঢাকায় ফিরেছেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন। বছরের এক মৌসুমে নয়, অন্য মৌসুমেও পেঁয়াজের চাষাবাদ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব অঞ্চলের পেঁয়াজ চাষিদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও গবেষকরাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। চাষিরা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজেরও চাষাবাদ হচ্ছে। এ জাতের পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানো গেলে বছরে শীতকালীন পেঁয়াজের দিকে তাকিয়ে থাকা লাগবে না। তখন সারা বছরই পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। পাওয়া যাবে বাজারেও। সরকার এ বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন।
কোন মন্তব্য নেই